স্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রকৃতির অধিকার এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক এন্ড এনভয়ারমেন্টাল রাইটস (সিডিইআর)সহ ২টি আন্তর্জাতিক সংগঠন। আমেরিকা, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড,অষ্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, নর্থ আমেরিকাসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশের গবেষক, পরিবেশবিদ, আইনজীবী, সংসদ সদস্য, অধ্যাপকবৃন্দ ভার্চুয়াল সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ভারত থেকে সৃষ্টি বাজপেয়ী ও বাংলাদেশ থেকে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মনজিল মোরসেদকে উক্ত ভার্চুয়াল সংলাপে আমন্ত্রণ জানান হয়। ২ অক্টোবর রাত সোয়া ৯ টা থেকে সোয়া ১০ টা পর্যন্ত নির্ধারিত ২য় প্যানেল আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ১) বর্তমান কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রকৃতির অধিকার এবং মানবাধিকার ২) স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবাধিকার সংক্রান্ত আইনগত পরিবর্তন, কোর্টের রায়, আন্তর্জাতিক চুক্তি, দেশে প্রকৃতির অধিকার।
আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সংলাপের ২য় প্যানেল আলোচনার মডারেটের ছিলেন ‘সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক এন্ড এনভয়ারমেন্টাল রাইটস(সিডিইআর),’ এর এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ম্যারি মারগিল। আলোচনা করেন ভারতের সৃষ্টি বাজপেয়ী। তিনি আদালতের গংগা নদীর রায়ের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং সরকারের প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন দুর্বলতার বিষয় তুলে ধরেন।
এইচআরপিবি প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মনজিল মোরসেদ তার বক্তব্যে বাংলাদেশে নদী, খাল, পাহাড়, সমুদ্র সৈকত ও পরিবেশ রক্ষায় প্রণীত বিভিন্ন আইন ও সংবিধানের আর্টিকেল ১৮এ সংযোজনের বিষয়, সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ের মৌলিক অধিকার এর বিধানগুলি তুলে ধরেন। আইনের সুনির্দিষ্ট বিধি বিধান থাকা সত্তে¡ও প্রকৃতি, পরিবেশ ও মানবাধিকার রক্ষায় দুর্বলতার কারণ গুলি তিনি তুলে ধরেন। আইন প্রয়োগে দুর্বলতার সমস্যাকে জনস্বার্থের মামলায় আদালতের আদেশ ও রায়ের মাধ্যমে উক্ত অধিকার সুরক্ষা করার প্রয়াস ও অবস্থার উন্নতির বিষয়টি তুলে ধরেন। এডভোকেট মনজিল তার বক্তব্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দূষণ ও দখলে প্রভাবশালী ও অর্থশালীদের ছত্রছায়ার বিষয়টি তুলে ধরেন এবং আদালতের বারবার হস্তক্ষেপের কারণে আনেক ক্ষেত্রে অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় আগের নিস্ক্রিয়তা কমে আসছে। তিনি বলেন সম্প্রতি ’’নদীর জীবন স্বত্বার’’ হাইকোর্টের রায় ও আপিল বিভাগে উক্ত রায় বহাল থাকার কারণে বাংলাদেশ বিশে^ একটি নুতন অধ্যায়ের সুচনা করেছে এবং এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে নদী রক্ষায় যুগান্তকারী ভুমিকা পালন করবে। ২ দিনের সংলাপে প্যানেলের অন্যান্য আলোচক ছিলেন সুইডেনের রেবেকা লি মইনি, কলম্বিয়ার ড্যানিয়েল বনিলা, আমেরিকার এরিন ডালি, লিন্ডা সিহান, নিকোলাস রবিনসন, থমাস লিনজি, নিউজিল্যান্ডের ক্যাথেরিন মেগালানেস,অষ্ট্রেলিয়ার মিখাইল মেলিনি প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
Leave a Reply