বিশেষ সংবাদদাতা ঃ
ঝালকাঠি এন.এস কামিল মাদরাসার সামনে বাসন্ডা নদীর পশ্চিম তীর রক্ষার নামে মাটি ফেলে নদী ভরাট বন্ধে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। গতকাল রবিবার দুপুর ১২ টায় জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। সভায় নির্বাহী প্রকৌশলী উপস্থিত না থাকলেও তার পক্ষে সহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল উপস্থিত ছিলেন। নদী রক্ষা কমিটির ত্রৈমাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি মো. জোহর আলী। জুম ভার্চুয়াল সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ফরিদ উদ্দিন, চার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, সদস্য সাংবাদিক হেমায়েত উদ্দিন হিমু ও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আক্কাস সিকদার বক্তব্য রাখেন। অভিযোগে প্রকাশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় বাসন্ডা নদীর ৩৮০ মিটার পশ্চিম তীর প্রতিরক্ষার কাজ চলছে। ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয় চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি। ২০২১ সনের জুন মাসে এ কাজ শেষ হবার কথা রয়েছে। কাজের মধ্যে রয়েছ জিও ব্যাগ ডাম্পিং, ব্লগ ডাম্পিং ও ব্লগ প্লেটিং। এলাকাবাসির অভিযোগ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এই কাজের সুযোগ নিয়ে শুক্রবার রাত ১১ টায় পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ি কাজের সামনে থেকে রাতের অন্ধকারে মাটি ফেলে নদী ভরাট শুরু করে। ৪টি ভেকু মেশিন দিয়ে দ্রæত তারা একাজ করছে। ভেকু মেশিন চালিয়ে নদী ভরাটের কাজ করায় পার্শবর্তী সড়কটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতের অন্ধকারে কেন এভাবে নদী দখল করা হচ্ছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নেছারাবাদ কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাওলানা মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমরা আমাদের মাদ্রাসার জায়গায় মাটি ভরাট করছি। এ কাজ রাতে কেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দেন নি। এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি পানি উন্নয় বোর্ডের তীর রক্ষা কাজের উপসহকারি প্রকৌশলী বিভুতি চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের না জানিয়ে এ ধরনের কাজ করছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আমরা নিষেধ করলেও আমাদের কথা তাঁরা শুনছে না । উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল বলেন, নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজের ডিজাইন লঙ্ঘন করে নদী ভরাটের কোন কাজ না করার জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা সে অনুরোধ শোনেননি। তাই দু’এক দিনের মধ্যে লিখিত নোটিশ প্রদান করা হবে। এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস বলেন, আমি শোনার সাথে সাথে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। একাজ তারা করতে পারেনা। একদিকে নদীর তীর রক্ষার কাজ হচ্ছে অন্যদিকে অবৈধ দখল হবে এটা মেনে নেয়া যায়না। এ বিষয়ে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের চীফ ইঞ্জিনিয়ার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে জানাব।
Leave a Reply