কাঠালিয়া প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির কাঠালিয়ার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আবারো দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসির উদ্দীন খলিফা ও সহকারী শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল ইসলাম পশ্চিম তালগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। অনিয়মের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা একে অপরকে দুষলেন। ইতোপূর্বে ৯জন শিক্ষকের সরকারি টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনা একওই প্রক্রিয়ায় হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের গত ৬ নভেম্বর ২০১৯ তারিখের প্রাজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালানা কমিটির পুরুষ ও মহিলা বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক হওয়া আবশ্যক থাকলেও, পশ্চিম তালগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির গঠনে ওই প্রাজ্ঞাপনের কোন তোয়াক্কা করা হয়নি। দুইজন বিদুৎসাহীর কারো কোন শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করছেন না। অথচ গত ৫ মার্চ ২০২০ তারিখে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মিস্ত্রী কমিটি অনুমোদনের জন্যে শিক্ষা অফিসে দাখিল করেন। পরবর্তীতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল ইসলাম গত ১১ জুন ২০২০ইং তারিখ কমিটি অনুমোদনের জন্যে সুপারিশ করেন এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসির উদ্দীন খলিফা একওই তারিখে কমিটি অনুমোদন দেন। যাহাতে বিদ্যুৎসাহী পদে রনজিৎ কুমার হাওলাদার ও মহিলা বিদ্যুৎসাহী পদে জয়ন্তি রানী কে নির্বাচিত করা হয়েছে। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মিস্ত্রী বলেন “দাতা সদস্য মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও অফিসের স্যারেরা যেভাবে বলেছেন, আমি সেভাবেই কমিটি করেছি”। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা বললেন ভিন্ন কথা। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান “বিষয়টি আমার জানাছিল না। তবে শিক্ষা কমিটির মিটিংয়ে ওই দুই বিদ্যুৎসাহীকে বাদ দিয়ে অন্যদের নিয়োগ দেওয়া হবে এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
Leave a Reply