মহামারি করোনা ভাইরাস এর ব্যপক সংক্রমনে ঢাকা শহরে হাজার হাজার রোগি সনাক্ত হচ্ছে এবং ইতিমধ্যে ১ হাজার এর অধিক মানুষ মৃত্যুবরন করেছেন। গত ১৮.০৪.২০২০ তারিখে সরকার প্রফেসর মোঃ শহিদুল্লাহকে সভাপতি করে ১৭ সদস্য বিশিস্ট জাতীয় টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার পর পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় উক্ত কমিটি সর্বশেষ ০৮.০৬.২০ তারিখে এক সভায় সর্বসন্মতভাবে মৃত্যু কমানোর জন্য নিম্নোক্ত সিদ্বান্ত গ্রহন করেন ও কার্যকরি করার সুপারিশ করেন;
১.ঢাকা শহরকে কড়াকড়িভাবে সম্পূর্ণ ‘লকডাউন’ করতে হবে। আর তা না হলে মৃত্যু মেনে নিতে হবে। ‘এলাকা ভিত্তিক লকডাউন’ কোনো সুফল বয়ে আনবে না। হলুদ জোন, লাল জোন মিলেমিশে আছে। ‘ঢাকাকে পুরোপুরি লগডাউন করতেই হবে’- এ ধরনের স্পষ্ট ‘এভিডেন্স বেইজড’ বা ডাটা বিশ্লেষণ করে পরামর্শ দিয়েছে ইপিডেমোলজিস্টদের সমন্বয় গড়া সাব-কমিটি। বিস্তারিত আলোচনার পর জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির আলোচকগণ এপিডেমোলজিস্টগণের সঙ্গে একমত হন। সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করা হয়।
2.বার বার পরামর্শ ও তাগিদ দেওয়ার পর এখনও জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনীয় একটি চিকিৎসা-কৌশল, ‘হাই ফ্লো নেজাল অক্সিজেন ক্যানুলা’র ব্যবস্হা নিশ্চিত করা হয়নি। অতিদ্রুত, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কালক্ষেপন না-করে অনতিবিলম্বে এর জোগান নিশ্চিত করার জোরালো তাগিদ পাশ করা হয়। এ ব্যবস্হাপনায় সব ধরনের জটিলতা দূর করে, প্রয়োজনে আলাদা রেজ্যুলেশন করে মানুষের জীবন রক্ষায়’ হাই ফ্লো নেজাল অক্সিজেন ক্যানুলা’ র পর্যাপ্ত প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মতামত দেন পরামর্শকগণ।
3. চিকিৎসকরা ব্যাপক হারে মারা যাচ্ছেন, সংক্রমিত হচ্ছেন। তাদের চিকিৎসা-সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে স্বাস্থ্যব্যবস্হা ও সেবা ভেঙে পড়বে- ইতিমধ্যে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে । সুতরাং কোভিড-১৯ সংক্রমিত চিকিৎসকদের (ও স্বাস্থ্যকর্মীদের) যথাযথ চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন সরবরাহের সার্বিক সুবিধাসহ আলাদা হসপিটালের ব্যবস্হা কালক্ষেপ না করে নিশ্চিত করতে হবে। এ প্রসঙ্গে ‘গ্যাসট্রোলিভার হসপিটাল’র বরাদ্দের পক্ষে সর্বসম্মত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এ হসপিটালের পরিচালনায় ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের কোনো ঘাটতি থাকলে তাও দ্রুত পূরণের পক্ষে মতামত গ্রহণ করা হয়
টেকনিক্যাল কমিটির উক্ত সুপারিশ বাস্তব্য়ন করে ঢাকা শহর লকডাউন ঘোষনা করা বা স্বাস্থ্য কর্মিদের উন্নত চিকিৎসা বা মুমুর্ষ রোগেদের জন্য হাই ফ্রো নেজাল অস্কিজেন ক্যানুলা পর্য্যাপ্ত সংগ্রহ করা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব হলেও তা করা হচ্ছে না যার কারনে শত শত মানুষের মৃত্যু ঝুকি বাড়ছে।
রীট আবেদনে বিবাদিদের উপর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে ঢাকাকে দ্রæত লকডাউন ঘোষনার জন্য, উক্ত সময় সিটি কর্পোরেশন এর মেয়রগন কমিশনারদের মাধ্যমে প্রত্যেক এলাকায় গরিবদের প্রয়োজনে খাদ্য ও মেডিসিন সরবরাহ করবে। উক্ত কাজে সরকার লজিষ্টিক সাপোর্ট প্রদান করবে। স্বাস্থ্য কর্মিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহন এবং চিকিৎসার জন্য পর্য্যাপ্ত হাই ফ্রো নেজাল অস্কিজেন ক্যানুলা সংগ্রহের নির্দেশন্া চাওয়া হয়েছে।
রীট পিটিশনার হলেন এডভোকেট মোঃ মাহবুবুল ইসলাম, বিবাদিরা হলেন ক্যবিনেট, স্বাস্থ্য, অর্থ ও প্রধানমন্ত্রীর সচিবলায়ের সচিব, ডিজি হেলথ, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অতিঃ সচিব (হাসপাতাল), অতিঃ সচিব(প্রশ্াসন), পুলিশ কমিশনার, ডিজি র্যাব, ও ঢাকার ২ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রগন। সঃ বিঃ।
Leave a Reply