রহিম রেজা:
ঝালকাঠির রাজাপুরের আদাখোলা ওলামাগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আরিফুর রহমান নুহু’র বিরুদ্ধে মধ্য আদাখোলা গ্রামের ধুনিয়া বাসাবাড়ি ভারানী খালে গাছ খুটির পাইলিং দিয়ে ভরাট ও কালভার্ট ভরাট করে কোলায় পানি চলাচল বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দ্রুত পানি সমস্যার প্রতিকারের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকার ক্ষুদ্ধ কৃষক ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক আমির হোসেন, মোশারেফ বেপারি, খলিলুর রহমান, আবুল কালাম, শহিদুল, জাহাঙ্গীর, অলিউল্লাহ, সেলিম, এনায়েত হোসেন, আব্দুর রহিম ও বারেক হাওলাদার প্রমুখ।
কৃষক আমির হোসেন অভিযোগ করে জানান, এ সমস্যার প্রতিকার চেয়ে গত ১৭ মে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। কিন্তু সে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ইউএনও ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারের নির্দেশ দেয়ার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও সার্ভেয়া ঘটনাস্থলে আসেননি। বর্তমানে জমি চাষের মৌসুম হলেও কালভার্ট ভরাট করে পানি প্রবাহ বন্ধ করে রাখায় কৃষকদের চাষাবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকদের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে ভরাটকৃত কালভার্ট’র মুখ মাটি থেকে বের করে পানি চলাচলা পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক করা হোক। কৃষক আমির হোসেনের দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আদাখোলা গ্রামের ৪২ নং মৌজার ধুনিয়া বাসাবাড়ি ভারানী খালসহ কালভার্ট ভরাট করায় পানি আটকে আমির হোসেনের ১৬ শতাংশ জমিসহ ওই এলাকার কোলার ফসল নষ্ট হচ্ছে।
বর্তমানে স্বাভাবিক জোয়ার ভাটার পানি চলাচল ও নৌকা চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। বালু ফেলে পশ্চিম পাশ ও মাটি ফেলে পুরো কালভার্ট ভরাট করায় ওই এলাকার কোলার নিচু এলাকা পানি আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি এবং উচু এলাকায় পানি সংকটের কারনে বর্তমান মৌসুমে স্বাভাবিক চাষাবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে।
বর্তমানে স্থানীয় একটি মহল নানাভাবে কৃষকদের হুমকি দেয়ায় এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আদাখোলা ওলামাগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আরিফুর রহমান নুহু অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ওই খালে তার ক্রয়কৃত জমি ভেঙ্গে যায় তাই তিনি ভাঙনরোধে বাধ দিয়েছেন এবং কালভার্টি দেবে যাওয়া লোক চলাচলে অসুবিধা হওয়ায় মাটি নিয়ে ভরাট করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউএনও সোহাগ হাওলাদার জানান, সার্ভেয়ারের সাথে কথা বলে দেখি তিনি ওই এলাকা গেছিলেন কিনা বা কি অবস্থায় আছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply