নলছিটি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার তেতুলবাড়িয়ায় ঠিকাদার গিয়াসউদ্দিন মুন্সীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় তার সাথে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঈদুল ফিতরের আগের রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত গিয়াস মুন্সি বর্তমানে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভেরনবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ মাঝির ছেলে সাখাওয়াত ওরফে খৈয়াম তার দলবল নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত ঠিকাদারের ভাই নিজাম উদ্দিন মুন্সি। আহত নিজামউদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরনের পরামর্শ দিয়েছে বরিশালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে ধারালো অস্ত্রের কোপে বাম হাতের তালুতে হারকাটা জখম হয়েছে এবং লাঠি বা লোহার দন্ডের আঘাতে তার ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদার গিয়াসের সাথে নাচনমহল ইউনিয়নের ভেরনবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ মাঝির ছেলে সাখাওয়াাত ওরফে খৈয়ামের সাথে পূর্ব বিরোধ চলে আসছে বলে জানিয়েছে আহতের পরিবার। বিরোধীয় জের ধরে প্রায় সময়মই শাখাওয়াত ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা ঠিকাদার গিয়াসউদ্দিনকে ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। ঈদ উপলক্ষে গিয়াস মুন্সী ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে ঈদের আগের রাতে এশার নামাজ শেষে চাচার বাড়িতে যাওয়ার পথে কাটাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আসলে সেখানে আগেই ওৎপেতে থাকা শাখাওয়াত এবং তার সন্ত্রাসী সহযোগী। জলিল মাঝি, দুলাল বিশ্বাস, বাসার, আলতাফ মাঝি, বারেক, শহীদ, বাবুসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় গিয়াস উদ্দিনের চাচা আব্দুর রব মাঝি ধরতে আসলে তাকেও মারধর করেছে শাখাওয়াত ও তার সহযোগীরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাতেই বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের স্বজনরা জানান। তেঁতুলবড়িয়া ভেরনবড়িয়া এলাকায় শাখাওয়াতের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে এলাকার সাধারণ মানুষকে হামলা-মামলার শিকার হতে হয়। সন্ত্রাসী শাখাওয়াতের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
Leave a Reply